Home অন‍্যান‍্য কিভাবে জৈব কীটনাশক তৈরির করবনে

কিভাবে জৈব কীটনাশক তৈরির করবনে

by admin
কিভাবে জৈব কীটনাশক

কিভাবে জৈব কীটনাশক তৈরির করবনে: রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয় এবং খরচও বেড়ে যায়।

জৈব উপাদান ব্যবহার করে কীটনাশক তৈরি করে এ অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব।

পদ্ধতি: নিম্নের উপাদান ব্যবহার করে জৈব কীটনাশক তৈরি করতে হবে।

প্রথম ধাপ: একটি বড় পাত্র জোগাড় করতে হবে এবং সেই পাত্র গো-চোনা জমা করতে হাব।

দ্বিতীয় ধাপ: গো-চোনাসহ পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কমপক্ষে দুই মাস রাখতে হাব।

তৃতীয় ধাপ: দুই মাসে গো-চোনা পচে যাবে। এ গো-চোনার সঙ্গে বিষকাঁটালির রস, মেহগনির বীজ, রিফুজিলতা ও আতাফল পাতা ও

মেহগনির বীজ মেশাতে হবে।

শিশ্রণ তৈরি প্রক্রিয়া: এক লিটার গো-চোনার সঙ্গে পানি দিতে হবে পাঁট লিটার। অন্য পাত্রে দুই লিটার পানির সঙ্গে আধা কেজি

বিষকাটালি গাছের রস, একটি মেহগনির বীজ জ্বাল দিয়ে এক লিটার তরল তৈরি করতে হবে। এক পোয়া রিফুজিলতার সঙ্গে এক কেজি

আতাফল পাতা এবং তিন কেজি পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এপ পর প্রতিটি দ্রবণ এক কেজি করে নিয়ে জমিতে স্প্রে করা যায়। গ্রামে

অনেকে সুপারি পাতা বা শুকনো নারিকেল পাতা দ্রবণে চুবিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে ধানগাছের ওপর দিয়ে টেনে টেনে নিয়ে যায়। এভাবে টেনে

টেনে নেওয়ার ফলে পাতা থেকে দ্রবণ সহজে গাছের ওপরিভাগসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে।

উপকারিতা: কিভাবে জৈব কীটনাশক

মাত্র ২০ টাকায় ৬ শতক জমিতে স্প্রে করা যায় এবং এর ফলে শরীরেও কোনো জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে না। রাসায়নিক কীটনাশক

ব্যবহার করলে জমির উর্বরতা নষ্ট হতে থাকে এবং খরচও অনেক বেড়ে যায়। জৈব উপাদান ব্যবহার এবং কীটনাশক তৈরি করে এ

অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব।

উপাদান: বড় পাত্র, গরুর মূত্র, বিষকাটালির রস, মেহগনির বীজ, রিফুজিলতা, আতাফল পাতা ও আতাফলের বীজ।

পদ্ধতি: ১.

একটি বড় পাত্র জোগাড় করতে হবে এবং এই পাত্রে গরুর মূত্র জমা করতে হবে। ২. গরুর মূত্রসহ পাত্রটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কমপক্ষে

দুই মাস রাখতে হবে। ৩. এই দুই মাসে গরুর মূত্র পচে বাসি হয়ে যাবে। এই মূাত্রের সঙ্গে বিষকাটালির রস, মেহগনির বীজ, রিফুজিলতা,

আতাফল পাতা ও এর বীজ মেশাতে হবে।

মিশ্রণ তৈরি প্রক্রিয়া:

এক লিটার গরুর মূত্রের সঙ্গে পানি দিতে হবে পাঁচ লিটার। অন্য পাত্রে দুই লিটার পানির সঙ্গে আধাকেজি বিষকাটালি গাছের রস, একটি

মেহগনির বীজ জ্বাল দিয়ে এক লিটার তরল তৈরি করতে হবে। এক পোয়া রিফুজিলতার সঙ্গে এক কেজি আতাফলের পাতা এবং তিন

কেজি পানি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এরপর প্রতিটি দ্রবণ এক কেজি করে নিয়ে জমিতে স্প্রে করা যায়। গ্রামে অনেকে সুাপারি পাতা বা

শুকনো নারিকেল পাতা দ্রবণে চুবিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে ধানগাছের ওপর দিয়ে টেনে টেনে নিয়ে যায়। এভাবে টেনে টেনে নেওয়ার ফলে

পাতা থেকে দ্রবণ সহজে গাছের উপরি ভাগসহ সব জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে।

উপকারিতা: কিভাবে জৈব কীটনাশক

মাত্র ২০ টাকায় ছয় শতক জমিতে স্প্রে করা যায়। এর ফলে শরীরেও কোনো জীবাণ বাসা বাঁধতে পারেনা।

পিঁপড়া থেকে ফসল রক্ষা: মানুষ যে পরিবেশে থাকে সে পরিবেশকে তার বসবাস উপযোগী করে নেয়। মধুপুর গড় অঞ্চলে গারো

উপজাতিরা বংশানুক্রমিকভাবে বয়ে আনা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বনের ভেতর নানা প্রতিকূল অবস্থায় বেঁচে থাকার ও জীবিকা

নির্বাহের উপায় খুঁজে বের করেছে। বিশেষ করে চাষাবাদের ক্ষেত্রে তাদের লোকায়ত জ্ঞানের প্রয়োগ খুবই ফলপ্রসু হতে পারে। তাদের

লোকায়ত জ্ঞান ব্যবহার করে ফসলকে লাল পিঁপড়ার হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

প্রয়োজনীয় উপকরণ: কিভাবে জৈব কীটনাশক

পানি, কাপড় কাচার সাবান, কেরোসিন ইত্যাদি। ফসলকে লাল পিঁপড়ার হাত থেকে রক্ষার কৌশল

প্রথম ধাপ: প্রথমে এক লিটার পানির মধ্যে কাপড় কাচার সাবান গোলাতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: এপর মিশ্রণটির মধ্যে তিন থেকে চার ফোঁটা কেরোসিন গুলে পিঁপড়ার গর্তে দিতে হবে।

উপকারিতা: এ পদ্ধতি অনুসরণ করলে গর্তের পিঁপড়া মরে যাবে এবং ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। এই পদ্ধতি ব্যহার করলে পরিবেশের

ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে না।

You may also like

Leave a Comment